Saturday, July 29, 2023

ভ্রমণকাহিনী: মন পড়ে রয় মোঙ্গোলিয়ায় ।। শ্যামল চ্যাটার্জী

পর্ব ১

মন পড়ে রয় 
মেঘের দেশ মোঙ্গোলিয়ায়
ভবঘুরে জীবনে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলো এখানে এসে। এ এক মজার দেশ। এ এক বৈচিত্র্যময় মজার দেশ। নদী, হ্রদ, বরফে মোড়া পাহাড়, মরুভূমি, চারণভূমি আর তার সঙ্গে রয়েছে বিচিত্র আস্তানায় থাকা মানুষ, গ্রাম নগর শহরে। এখানকার বিচিত্র প্রকৃতিতে রয়েছে যেমন এক মাদকতা তেমনি এখানকার মানুষের জীবনযাত্রায় রয়েছে বেঁচে থাকার নানা কাহিনী। 

১৪ই জুন ২০২৩
হাওড়া থেকে র‌‌ওনা হলুম দিল্লির উদ্দেশ্যে। কোলকাতা থেকে সরাসরি কোন ফ্লাইট নেই মাঙ্গলিয়ার রাজধানী উলানবাটরে তাই দিল্লি হয়ে যেতে হবে তাও অনেক ঘুরপথে ইস্তাম্বুল হয়ে। চীন হয়ে গেলে পথ অনেক কম হয় কিন্তু ঝামেলাও অনেক বেশী। অগত্যা এই পথে। 

হাওড়া থেকে নেতাজী এক্সপ্রেসে পুরোনো দিল্লি, সেখান থেকে দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ভোর ছটা কুড়ি মিনিটে টার্কিস এয়ারলাইনসের টি কে ৭১৭ বিমান। ছ'ঘন্টা পঞ্চাশ মিনিটের যাত্রায় পৌঁছব ইস্তাম্বুল। 

ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট যেমন আধুনিক তেমনি বিশাল। ইস্তাম্বুলে সাড়ে সাতঘন্টা অপেক্ষার পর আবার টি কে ২৩৬ টার্কিস এয়ারলাইনসের বিমানে যাব মাঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটরের চেঙ্গিজ খান বিমানবন্দরে। 

চেঙ্গিজ খানের নামটা শুনলেই শরীর কেমন শিহরিত হয়। সেই ক্লাস এইটের ইতিহাস বইতে পড়ে ছিলুম ওনার কথা প্রথম। আজ সেই চেঙ্গিজ খানের দেশে যাব ভাবতে কেমন লাগছে। 

সন্ধ্যে ছটা দশ মিনিটে ছেড়ে পরদিন সকাল সাতটায় পৌঁছলুম উলানবাটর। বেশ বড় বিমানবন্দর। খুব সাজানো গোছানো চেঙ্গিজ খান এয়ারপোর্ট। 
চেঙ্গিস খান 

এখানে ইমিগ্রেশন পর্ব শেষ করে র‌‌ওনা দিলুম হোটেলের উদ্দেশ্যে। মাঙ্গোলিয়ার এজেন্টের গাড়ী চলে এসেছে এয়ারপোর্টে। তার গাড়ীতে চলে এলুম নির্ধারিত হোটেল হোরিকাতে নয়, নিয়ে গেল উলানবাটরের অন্য আর একটি সুন্দর হোটেলে। 

এই প্রসঙ্গে বলে রাখি ভারতবর্ষ থেকে আমরা এগারোজন যাত্রী এসেছি আর আমাদের নেতৃত্বে আছেন রতনদা অর্থাৎ রতনলাল বিশ্বাস (রতনলাল বিশ্বাস ) সেই বিখ্যাত ভূপর্যটক। আমরা মাঙ্গোলিয়ার সব গুরুত্বপূর্ন স্থান দেখে নিতে চেষ্টা করব এবারে। এমনকি এখানকার বিখ্যাত নাদাম উৎসব পর্যন্ত। মাঙ্গোলিয়ায় থাকব সতেরো জুন থেকে চোদ্দোই জুলাই পর্য্যন্ত। 

পর্ব ২

বিকেলে উলানবাটর শহর কিছুটা হেঁটে ঘুরে নিলুম। খুব চ‌ওড়া রাস্তা হোটেলের সামনে দিয়ে গেছে, সেটা ধরেই চলেছি। রাস্তায় তেমন মানুষ বা গাড়ীর ভীড় নেই এখানে। ট্রলি বাস আর ডবলডেকার বাস চলে এখানে। ফুটপাতে চলে মনো সাইকেল। খুব ঝাঁচকচকে শহর, রাজধানী যেমন হয় তেমনই। সিগন্যাল ব্যবস্থা খুব ভাল, কেউই অমান্য করে না। ফুটের পাশে ফল সবজির দোকান রয়েছে। অনেক মলও আছে রাস্তার দুধারে। বোঝা যায়‌ উচ্চবিত্ত মানুষের বাস এখানে। কিছুটা হেঁটে পেলুম একটা ছোটো নদী। তার দুপাশে রয়েছে আবাসন আর

কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স। এর‌ই মাঝে চোখে পড়ল রুশ স্থাপত্যে গড়া সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। 
কাল সকালে চলে যাব প্রায় সাড়ে চারশো কিমি দূরে উলানবাটরের উত্তরপশ্চিম দিকে অবস্থিত  "Amarbayasgalan" গুম্ফা দেখতে। 

সন্ধ্যার আগেই হোটেলে ফিরে রাতের খাওয়া সেরে বিছানা নিলুম। এদেশে দিনের আলো থাকে প্রায় সতেরো ঘন্টা। আর ভারতে থেকে এখানের ঘড়ি প্রায় আড়াই ঘন্টা পেছিয়ে চলে। 

সকালের নাস্তা হোটেল থেকেই দিয়েছে, খুবই ভাল খাবার। গাড়ী চলতে লাগল হাইওয়ে ধরে। দুপুর একটা নাগাদ খাওয়ার জন্যে গাড়ী থামল হাইওয়ের ধারে একটা উঁচু চারণভূমিতে। নীচে দিয়ে যাচ্ছে রেললাইন। মাইলের পর মাইল শুধু চারণভূমি সেখানে চরছে ভেড়া ছাগল আর গরু। কখন‌ও হাইওয়ে থেকে বহুদূরে দেখা যাচ্ছে গ্রাম। 

বিকেলে এসে পৌঁছলাম পাহাড়ে ঘেরা এক অসাধারণ সুন্দর উপত্যকায়। এখানেই রয়েছে মাঙ্গোলিয়ার সেই বিখ্যাত গুম্ফা। 1727-1736 মধ্যে এটি তৈরি হয়। Burenkhan পাহাড়ের কোলে cul-de-sac ভ্যালিতে Evin নদীর ধারে এটি এক অপূর্ব গুম্ফা। ২০৭ বাই ১৭৫ মিটার পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। মূল মন্দির ৩২ বাই ৩২ মিটার। এই মন্দিরে চীনা মঙ্গলিয়া আর তিব্বতের প্রভাব রয়েছে। তিরিশ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় এই গুম্ফা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এখন সেগুলো মেরামতের কাজ চলছে।

আমাদের তাঁবু পড়ল Evin নদীর ধারে। শুরু হল রাতের খাবার রান্না। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি যে ট্রাভেলসের সঙ্গে এসেছি তারাই সব দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের আত্মীয়স্বজনরা এসেছেন। দুজন গাড়ী চালাচ্ছেন, এখানে সব গাড়ী লেফ্টহ্যন্ড ড্রাইভ আর বাকী দুজন নারীকর্মী তারা রান্নার দিক সামলাচ্ছেন। সকলের ব্যবহার অতি সুন্দর আর রান্নাও। তবে খাবার ভারতীয় নয় মাঙ্গোলিয়ান খেতে অসুবিধা হচ্ছে না। এখানে মাংস নানা ধরনের পাওয়া যায়। ডিম তো আছেই। সবজি তেমন পাওয়া যায় না তাই নিরামিশের চল কম। এরা মশলাবিহীন রান্না করে প্রায় সেদ্ধ‌ই। বিভিন্ন পশুর দুধ প্রচুর পাওয়া যায় তাই খাওয়ার কোনো অসুবিধা হয় না। 

রান্না এতক্ষণে শেষ হয়ে গেছে বোধহয়। খেয়ে শুয়ে পড়া ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। কাল যাব বুলগান হয়ে মুরুণ। সেসব কথা জানাব পরের পর্বে।

পর্ব ৩
আজ খুব সকালে‌ই বেড়িয়ে পড়েছি কারণ যেতে হবে প্রায় পাঁচশো কিমি বুলগান হয়ে মুরুণ। বুলগান একেবারে রাশিয়া লাগোয়া একটা শহর। সেখান থেকে মুরুণ শহরে। বুলগান শহরে আছে  Selenge নদী, আসছে রাশিয়া থেকে। এখানে প্রায় বারো হাজার মানুষের বাস। একমাত্র পশুপালন‌ই ভরসা। পথে পড়েছে কেবলই চারণভূমি। কমিউনিস্টদের আমলে রাশিয়া Darkhan শহরে বেশ কিছুটা শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে ছিল ৬০ সাল নাগাদ কিন্তু বুলগানে তেমনটা হয়নি। অন্যদিকে মরুণ শহর বেশ উন্নত। 
সেখানে হাসপাতাল, স্কুল মিউজিয়াম, থিয়েটার সব‌ই আছে। একটা বেশ বড় গুম্ফাও ছিল যা ১৮১০ সালে তৈরী হয়ে ছিল। ১৩০০ লামা ছিল এক সময় এখানে। ১৯৩৭ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় ধ্বংস হয়ে যায়। এখন একটা ছোট আকারে আছে। 

মুরুণ শহরে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ বাস করে। মুরুণ পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে যায় আমাদের। রাতটা এখানকার হোটেলে কাটিয়ে কাল চলে যাব Khuvsgul lake দেখতে। এই লেক হলো মাঙ্গোলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক। একে সিস্টার লেক‌ও বলে মাঙ্গোলিয়ার মানুষ। মুরুণ থেকে একশো কুড়ি কিমি দূরে এই লেক। আমরা পথে  নদীর ধারে দুপুরের খাওয়া সারলুম। শহর থেকে বেরিয়ে হাইওয়ে ধরে যখন গাড়ী চলে তখন কোনো সমস্যা নেই কিন্তু বেশীরভাগ সময়ই হাইওয়ে ছেড়ে নেমে পড়তে হচ্ছে চারণভূমিতে। সেখানে দূরে পাহাড় দিয়ে ঘেরা, আর শুধুই ধূ ধূ করছে মাঠ, রাস্তা বলতে কিছু নেই। কেবলমাত্র দিক নির্ণয় করে চলা। কখন‌ও কখন‌ও দিক ভুল হয়েও যাচ্ছে কিন্তু দক্ষ ড্রাইভার ভায়েরা আবার সঠিক যায়গায় ফিরে আসছে। বেশ রোমাঞ্চকর ব্যাপার হচ্ছে মাঝেমাঝেই। 
Khuvsgul লেকের ধারে Gir Camp রাতে থাকলুম। এখানে থাকব দুটো রাত। এরপর যাব  Khyarges লেক দেখতে। এখানে থাকতে হবে নিজেদের টেন্টে। টেন্ট ফেলা এবং তোলা দুটোই নিজেদের করতে হয়। তবু এই ব্যপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং। 

লেকের জলে প্রচুর মাছ। একজন হুইল ছিপে মাছ ধরছিল। আমিও ওনার কাছ থেকে একটা হুইল ছিপ নিয়ে ছোট বয়সের অভ্যাসটা ঝালিয়ে নিলুম। বেশ কয়েকটা মাছ পাওয়া গেল। এগুলো ভীষণ সুস্বাদু। রাতের খাবারের সঙ্গে চলল প্রচুর মাছ ভাজা। সন্ধ্যা হ‌ওয়ার আগেই মেঘ ঘনিয়ে এলো। তখন‌ও জানি না কি বিপদ ঘনিয়ে আসছে আমাদের জন্যে। পরের পর্বে লিখব সে কথা।

পর্ব ৪

এখানে রাত্রি আসে অনেক পরে। তাই রাতের খাওয়া সেরে নিলুম সাতটা নাগাদ। রোজ‌ই এই রকম হয়। আজ তোফা খাওয়া। লেকের থেকে মাছ ধরা হয়েছিল অনেক। সেগুলো ভাজা, অনেকটা চিকেন শুপ আর পাঁউরুটি। পশ্চিমের আকাশ তখন লাল হয়ে আছে। খাওয়া সেরে ছবি তুলব বলে এগোতেই ড্রাইভার সাহেব বললে, আগে যাবেন না মৌসম ভাল নেই। অগত্যা টেন্টে ঢুকে পড়লুম। 


একটু পর শুরু হল বৃষ্টি তারপর‌ই এলো ভয়ঙ্কর ঝড়। এমন ঝড় আমি মাঙ্গোলিয়ায় এর আগে পাইনি। চারিদিক অন্ধকার করে এলো প্রবল ঝড়। তাঁবু উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার উপক্রম। গাড়ী দুটোকে তাঁবুর সামনে এনে হেডলাইট জ্বেলে দিল যাতে অন্ততঃ বোঝা যায় বিপদটা কত গভীরে। মাঙ্গোলিয়ান সাথীরা বৃষ্টিতে ভিজে প্রত্যেকটা তাঁবু সামলাচ্ছেন আর চিৎকার করছেন, প্লিজ শুয়ে থাকুন, তাঁবু থেকে বের হবেন না। 

কতক্ষণ এভাবে কেটেছে জানিনা, যখন ঝড় থামল বাইরে বেরিয়ে দেখি আমার টেন্টের কভার উড়ে গেছে, কিচেন টেন্ট‌ উল্টে গেছে। সেই রাত্রি কোনো মতে কাটিয়ে পরদিন বেরিয়ে পড়লুম Khyarges Lake থেকে Ulaangom হয়ে Uvs Lake camp.

এখানে দুপুরের খাওয়া সেরে নিলুম। এই হ্রদ মঙ্গলিয়ার সবচেয়ে বড় হ্রদ। এই হ্রদের উওর-পূর্ব কিনায় রয়েছে রাশিয়ান ফেডারেশনের টুভা প্রজাতন্ত্র। লেক দেখা শেষ করে এখন চললুম Ulaangom শহরে। আজ ওখানেই রাত্রিবাস হোটেলে।

সুন্দর শহর এখন থেকে দেখা যায় দূরের বরফের পাহাড়। পরদিন সকালে টিফিন সেরে চললুম Ulaankhus Village প্রায় তিনশো কিমি দূরে। বেশ ভালোই লাগে কখন‌ও শহর আবার গ্রামের মধ্যে থাকতে। পথ চলা কখনো হাইওয়ে তো কখনো চারণভূমি। এখানে শহরে যদি বা কিছু মানুষজন পাওয়া যায়, গ্রামে কয়েকটা ঘর মাত্র। ঘর বলতে ওখানকার ঐ Gir অর্থাৎ বড় আর শক্তিশালী তাঁবু। এই জায়গাটা ভীষণ ঠান্ডা কারণ এখানে রয়েছে Altai Raven Bogd Mountain, মঙ্গলিয়ার সবচেয়ে উঁচু বরফাবৃত পাহাড় আর তার বিখ্যাত হিমবাহ। 
রাশিয়া চিন মাঙ্গোলিয়ার সীমান্তে রয়েছে 'ফ্রেন্ডশিপ পিক'। কাল যাব সেখানে। পরের পর্বে সেসব কথা লিখব।

পর্ব ৫

সাতাশ জুন বিকেলে Altai Tavan Bodg Mountain Ranger Station এসে পৌঁছলুম। অবাক হয়ে দেখলুম সামনেই বরফে মোড়া সুউচ্চ পর্বতের সারি। আমাদের তাঁবু ছিল একটু নিচুতে সমতল জায়গায়। সেখান থেকে খানিকটা হেঁটে ওপরে উঠেই দেখি একটা ঈগল। ক্রমশঃ সন্ধে হয়ে আসছে, বরফের চূড়ায় তখন শুরু হয়েছে রঙের খেলা। এখানে রাতের খাওয়া মিটিয়ে ফেলতে হয় সন্ধেতেই তাই খাওয়া সেরে তাঁবুতে ঢুকে পড়তে হয় দিনের আলো থাকতেই। ভীষণ জোরালো ঠান্ডা হওয়া ব‌ইতে শুরু করছে। তাই তাঁবুতে ঢুকে পড়া ছাড়া উপায়‌ও নেই। 


পরদিন সকালে দেখি ড্রামের জল জমে বরফ হয়ে আছে। একটু ঠুকে বরফ ভেঙ্গে জল বার করতে হল। টিফিন খেয়ে গাড়ীতে উঠলুম। যাব Potanin Glacier দেখতে।


পথে অপূর্ব সুন্দরী লেক যার উপর ভাসছে বরফে চাদর। চেকপোষ্ট পেরিয়ে এসে পৌঁছলুম গ্লেসিয়ারের নীচে। সামনে দাঁড়িয়ে মাঙ্গলিয়ার সর্বোচ্চ শিখর 'ফ্রেন্ডশিপ পিক'। রাশিয়া চীন এবং মাঙ্গলিয়ার মৈত্রী স্বরূপ এই শৃঙ্গ। অনেক অনেক টুরিস্টের ভীড় এখানে। রোদে থাকলেও শীতে বেশ কাবু করছিল আমায়। ওখানে রয়েছে যেমন বৌদ্ধধর্মালম্বী মানুষদের তৈরী এক বিশাল মানে। সেখানে তারা পূজো করছে মোমবাতি ধূপ জ্বালিয়ে অন্যদিকে কিছু মানুষকে দেখলুম চলেছে হেঁটে বা ঘোড়ায় চড়ে গ্লেসিয়ারের দিকে। ধর্মীয় লোকাচার, প্রকৃতি, আর বিভিন্ন ধরণের মানুষের এমন মিলনক্ষেত্র আমাকে অভিভূত করে তুলল। অনেক অনেক দুর্লভ ছবি তোলা শেষ করে ফিরে এলুম তাঁবুতে। আজ রাতেও থাকব এখানে কাল চলে যাব khoton Lake দেখতে।
বৌদ্ধদের মানে

আঠাশ জুন 
সকালে টিফিন সেরে গাড়ীতে উঠলুম।পথে নদী, লেক, নদীর সঙ্গম আর দুর্গম গিরিপথ পেরিয়ে বিকেলে চলে এলুম khoton Lake এর ধারে। চারদিকে সুউচ্চ পাহাড়ে ঘেরা এই লেক। এখানে GER Camp এ থাকার ব্যবস্থা হলো। বেশ কিছু seagulls চোখে পড়ল লেকের জলে। 

পরদিন চলে এলুম ঈগল হান্টার ভিলেজ। গ্রামের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের  (গ্রামের মোড়লের মত) সঙ্গে কথা হল আমাদের। ওনাদের গীর টেন্টে থাকার ব্যবস্থা হলো আজকের মত। মাঙ্গলিয়ার গ্রামের চেহারা সব এক‌ই রকমের। মাত্র কয়েক ঘর বসতি। পশু পালন‌ই একমাত্র জীবিকা এখানে।এখানকার শিশুদের লজেন্স আর বড়দের পেন দেওয়া হলো।
পোষা ঈগল দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা 

একটা পায়ে দড়ি বেঁধে রেখেছে এই বাড়ীতে। বাড়ীর মেয়েরা গরু ঘোড়া উটের দুধ দুইছে। প্রচুর দুধ হয় এদের। নিজেরা দুধ খায় আর কিছুটা ছানাও করে দেখলুম। সে রাতে আমরাও দুধ খেলুম ভুট্টার গুঁড়ো আর চিনি মিশিয়ে। তবে সেটা যে পরিচিত দুধ নয় তা ওর গন্ধ থেকেই মালুম হলো। 
মাঙ্গোলিয়ার গ্রাম

পরদিন সকালে গ্রামের দৈনিক কাজকর্মের কিছু ছবি তুলে র‌‌ওনা হলুম Lolbo Lake এর উদ্দেশ্যে।
গ্রামের শিশুরা 

অনেক সময় সেদিন আমাদের পথ চলা। পথে বেশ বৃষ্টি হলো। পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের ধারাগুলো প্রায় নদীর চেহারা নিয়েছে বৃষ্টির ফলে। প্রায় সন্ধ্যায় পৌঁছলুম লেকের ধারে। নিজেদের তাঁবু খাটানো হলো। অনেকদিন পরে আজ বাংলার রান্না খেলুম। মাঙ্গলিয়ার বোনদের ছুটি দিয়ে আমাদের সাথীরা রান্না করল ডিম ভাত। এতদিন ভাত পাইনি তাই আমি ভেতো বাঙ্গালী আজ পরম তৃপ্তিতে রাতের খাওয়া সারলুম। রাতে প্রচুর বৃষ্টি হতে লাগল। তাঁবুতে কোনোমতে রাত কাটিয়ে সকালে মেঘমুক্ত আকাশ পেলুম। গেলুম একেবারে জলের ধারে। প্রবল হাওয়ায় লেকের জলে বেশ বড় বড় ঢেউ উঠছে। 

এই লেকের ধারেই মাঙ্গলিয়ার এ্যলান্স সৈন্য(রাশিয়া এবং চীন)আর বলশেভিকদের সাথে যুদ্ধ হয়েছিল হোয়াইট রাশিয়ানদের মাঙ্গলিয়াকে মুক্ত করার সময়।


আজ জুলাইয়ের এক তারিখ। 
এবার চললুম শহরের দিকে। Bulghara বেশ বড় শহর। এখানে একটা Motel এ এসে উঠলুম। প্রায় চীন ঘেঁষা এই শহর। পায়ে হেঁটে ঘুরে নিলুম কিছুটা শহর। স্কুল, লাইব্রেরী, দোকানপাটে সাইনবোর্ডের লেখা দেখে বোঝো যাচ্ছিল এটা চীনা প্রভাবিত অঞ্চল। 

গোবি মরুভূমির পথে

আজ এ পয্যর্ন্ত‌ই থাক। এবার আমাদের লক্ষ্য গোবি মরুভূমি তবে তার আগে দেখে নেবো আর‌ও কিছু শহর, গ্রাম, নদী আর অসাধারণ সব পার্বত্য অঞ্চল।


পর্ব ৬






















Monday, July 24, 2023

ভারতের ইতিহাস: সাল-তারিখ


🛑খ্রিস্টপূর্ব

👉🏾৩০০০-১৫০০। সিন্ধু সভ্যতা

👉🏾১৫০০-১০০০ আদি বৈদিক যুগ বা ঋক বৈদিক
যুগ

👉🏾১০০০-৫০০ পরবর্তী বৈদিক যুগ

👉🏾৫৭৬ গৌতম বুদ্ধের জন্ম

👉🏾৫২৭ মহাবীরের জন্ম

👉🏾৩২৭-৩২৬ আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণ।
এই ঘটনা ভারত এবং ইয়োরোপের মধ্যে স্থলপথ খুলে দেয়।

👉🏾৩২১ নন্দ বংশের সম্রাটকে হারিয়ে মগধে মৌর্য সাম্রাজ্যের পত্তন করলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। রাজধানী হল পাটলিপুত্র (আজকের পাটনা)।

👉🏾৩১৩ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের জৈন ধর্মগ্রহণ

👉🏾৩০৫ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের কাছে সেলুকাসের পরাজয়

👉🏾২৭৩-২৩২ অশোকের রাজত্বকাল

👉🏾২৬১ কলিঙ্গ জয়

👉🏾১৪৫-১০১ শ্রীলংকার চোল রাজা এলারার রাজত্বকাল

👉🏾৫৮ বিক্রমী যুগের শুরু


🛑প্রথম খ্রিস্টাব্দ - দশম শতাব্দী

👉🏾৭৮ শক যুগের শুরু

👉🏾১২০ কনিষ্কের সিংহাসন লাভ

👉🏾৩২০ গুপ্ত বংশের প্রথম চন্দ্রগুপ্তের সিংহাসন লাভ প্রাচীন ভারতের সুবর্ণ যুগ

👉🏾৩২৫ সমুদ্রগুপ্তের সিংহাসন লাভ গুপ্ত সাম্রাজ্যের বিস্তার

👉🏾৩৮০ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত তথা বিক্রমাদিত্যের সিংহাসন লাভ

👉🏾 ৪০৫-৪১১ চৈনিক পরিব্রাজক 
ফা-হিয়েনের ভারত সফর

👉🏾৪১৫-৪৫৫ কুমারগুপ্তের রাজত্বকাল, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা

👉🏾৪৫০ হুন আক্রমণ

👉🏾৪৫৫ স্কন্দগুপ্তের সিংহাসন লাভ

👉🏾৬০৬-৬৪৭ হর্ষবর্ধনের রাজত্বকাল ৬৩৭ বাদামির চালুক্যদের রমরমা, দ্বিতীয় পুলকেশির হাতে হর্ষবর্ধনের পরাজয়

👉🏾৬৩০-৬৪৩ চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙের ভারত সফর

👉🏾৬৪৩ প্রয়াগে হর্ষবর্ধনের সমাবেশ

👉🏾৭১২ সিন্ধু উপত্যকায় আরবদের প্রথম আক্রমণ

👉🏾৭৫৩ চালুক্যদের হারিয়ে রাষ্ট্রকূট বংশের প্রতিষ্ঠা, চলে ৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত

👉🏾৭৬০ পূর্ব ভারতে পাল বংশের প্রতিষ্ঠা, চলে ১১৪২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত

👉🏾৭৭০-৮১০ পাল বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট ধর্মপালের রাজত্বকাল, বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা

👉🏾৭৮৮ আদি শঙ্করাচার্যের জন্ম

👉🏾৮৩৬ কনৌজের রাজা ভোজের সিংহাসন লাভ

👉🏾৯৮৫ চোল সম্রাট রাজারাজার সিংহাসন লাভ 

👉🏾৯৯৮ গজনির সুলতান মাহমুদের সিংহাসন লাভ


🛑১০০১ - ১৪৯৯ খ্রিস্টাব্দ

👉🏾১০০১ গজনির সুলতান মাহমুদের প্রথম ভারত আক্রমণ, পঞ্জাবের শাসক জয়পাল পরাজিত

👉🏾১০২৫ সুলতান মাহমুদের হাতে সোমনাথ মন্দির ধ্বংস

👉🏾১০৩০ আলবেরুনির ভারত আগমন, সুলতান মাহমুদের মৃত্যু

👉🏾১১১৮-১২০৫ বাংলায় সেন বংশের রাজত্বকাল

👉🏾১১৯০ মহম্মদ ঘোরির ভারত আক্রমণ

👉🏾১১৯১ তরাই-এর প্রথম যুদ্ধ... পৃথ্বীরাজ চৌহানের হাতে ঘোরি পরাস্ত

👉🏾১১৯২ তরাই-এর দ্বিতীয় যুদ্ধ পৃথ্বীরাজ চৌহান ঘোরির হাতে পরাস্ত

👉🏾১২০৬ ঝিলাম নদীর ধারে নিজের শিবিরে ঘোরি খুন

👉🏾১২০৬ কুতুবুদ্দিন আইবকের দিল্লির মসনদ দখল,
দিল্লির সুলতান বংশের প্রতিষ্ঠা

👉🏾১২১০ পোলো খেলতে গিয়ে কুতুবুদ্দিন আইবকের মৃত্যু

👉🏾১২১১-১২৩৬ ইলতুতমিশের রাজত্বকাল

👉🏾১২২১ চেঙ্গিস খানের ভারত আক্রমণ (মোঙ্গোল আক্রমণ)

👉🏾১২৩৬ রাজিয়া সুলতানার দিল্লীর সিংহাসন দখল

👉🏾১২৪০ রাজিয়া সুলতানার হত্যা

👉🏾১২৮৮-৯৩ ভারতে ইতালীয় পর্যটক মার্কো পোলো

👉🏾১২৯৬ আলাউদ্দিন খলজির সিংহাসন লাভ

👉🏾১৩১৬ আলাউদ্দিন খলজির মৃত্যু

👉🏾১৩২৫-১৩৫১ মহম্মদ-বিন তুঘলকের রাজত্বকাল

👉🏾১৩২৭ রাজধানী দিল্লি থেকে দাক্ষিণাত্যের দৌলতাবাদে সরালেন তুঘলক

👉🏾১৩৩৬ দক্ষিণে বিজয়নগর সাম্রাজ্য স্থাপন করলেন হরিহর ও বুক্কা রায়

👉🏾১৩৫১ ফিরোজ শাহের সিংহাসন লাভ, চলে ১৩৮৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত

👉🏾১৩৯৮ তৈমুর লঙের ভারত আক্রমণ

👉🏾১৪৫১ দিল্লির সিংহাসন দখল বাহলুল খান লোদি, লোদি সাম্রাজ্যের পত্তন

👉🏾১৪৬৯ গুরু নানকের জন্ম

👉🏾১৪৮৩ মধ্য এশিয়ার ফরগানায় বাবরের জন্ম

👉🏾১৪৮৬ পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপে গৌড়ীয় বৈষ্ণববাদের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাব

👉🏾১৪৯৪ বাবরের ফরগানার সিংহাসন লাভ

👉🏾১৪৯৭-৯৮ ভারতবর্ষের উদ্দেশে ভাস্কো দা গামার প্রথম সমুদ্রযাত্রা (উত্তমাশা অন্তরীপ দিয়ে ভারতযাত্রার সমুদ্রপথ আবিস্কার), কালিকটে অবতরণ 

🛑১৫০০-১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দ

👉🏾১৫০৯-১৫২৯ বিজয়নগর সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ রাজা কৃষ্ণদেব রায়ের রাজত্বকাল

👉🏾১৫২৬ পানিপথের প্রথম যুদ্ধ; বাবর ইব্রাহিম লোদিকে পরাজিত করেন; বাবর দ্বারা মুঘল সাম্রাজ্যের পত্তন করেন

👉🏾১৫২৭ খানুয়ার যুদ্ধ, বাবর রানা সঙ্গকে পরাজিত করেন 

👉🏾১৫৩০ বাবরের মৃত্যু এবং হুমায়ুনের সিংহাসন লাভ

👉🏾১৫৩৯ শের শাহ সুরি হুমায়ুনকে পরাজিত করেন

👉🏾১৫৪০ কনৌজের যুদ্ধ শের শাহের হাতে হুমায়ুনের চূড়ান্ত পরাজয়, দিল্লির সিংহাসনে সুরি বংশের প্রতিষ্ঠা

👉🏾১৫৪২ অমরকোটে আকবরের জন্ম

👉🏾১৫৪৫ কালিঞ্জরের যুদ্ধে শের শাহের মৃত্যু ১৫৫৫ হুমায়ুন দিল্লির সিংহাসন পুনর্দখল করেন

👉🏾১৫৫৬ পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ, আকবরের হাতে হেমুর পরাজয়

👉🏾১৫৬৪ আকবরের জিজিয়া কর বিলোপ

👉🏾১৫৬৫ তালিকোটার যুদ্ধ, বিজয়নগর সাম্রাজ্য ধ্বংস

👉🏾১৫৭১ আকবরের রাজধানী ফতেপুর সিক্রির প্রতিষ্ঠা

👉🏾১৫৭৬ হলদিঘাটের যুদ্ধ, আকবরের সেনাপতি রাজামান সিংহের হাতে মেবারের রানা প্রতাপ পরাজিত

👉🏾১৫৮২ আকবর দিন-ই-ইলাহি প্রতিষ্ঠা করেন

👉🏾১৫৯৭ রানাপ্রতাপের মৃত্যু

👉🏾১৬০০ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিষ্ঠা

👉🏾১৬০৫ আকবরের মৃত্যু এবং জাহাঙ্গিরের সিংহাসন লাভ

👉🏾১৬০৬ গুরু অর্জুনদেবের হত্যা

👉🏾১৬১১ জাহাঙ্গিরের নুরজাহানকে বিবাহ

👉🏾১৬১৬ স্যার টমাস রো জাহাঙ্গিরের সঙ্গে দেখা
করেন

👉🏾১৬২৭ শিবাজির জন্ম এবং জাহাঙ্গিরের মৃত্যু

👉🏾১৬২৮ শাহজাহান ভারতের সম্রাট হন

👉🏾১৬৩১ শাহজাহানের পত্নী মমতাজ মহলের মৃত্যু

👉🏾১৬৩৪ বৃটিশদের ভারতবর্ষের বাংলায় ব্যবসা
করতে অনুমতি দেওয়া হয়।

👉🏾১৬৩৬ শাহজাহানের তৃতীয় পুত্র আওরঙ্গজেব
দাক্ষিণাত্যের শাসক নিযুক্ত

👉🏾১৬৫৬ দিল্লির সিংহাসন নিয়ে শাহজাহানের চার পুত্রের বিবাদ শুরু 

👉🏾১৬৫৯ আওরঙ্গজেবের সিংহাসন দখল, শাহজাহান বন্দি

👉🏾১৬৬৫ আওরঙ্গজেব শিবাজিকে বন্দি করেন

👉🏾১৬৬৬ শাহজাহানের মৃত্যু

👉🏾১৬৭৪ শিবাজির অভিষেক এবং ছত্রপতি শিরোপা গ্রহণ

👉🏾১৬৭৫ আওরঙ্গজেবের নির্দেশে দিল্লিতে শিখদের নবম গুরু তেগবাহাদুরকে হত্যা, পরবর্তী গুরু হলেন গোবিন্দ সিং

👉🏾১৬৮০ শিবাজির মৃত্যু

👉🏾১৬৯৯ দশম গুরু গোবিন্দ সিংহ খালসা গড়লেন

👉🏾১৭০৭ আওরঙ্গাবাদে আওরঙ্গজেবের মৃত্যু

👉🏾১৭০৮ শুরু গোবিন্দ সিংহের মৃত্যু 

👉🏾১৭১৭ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সম্রাট
ফারুকশিয়রের সনদ, বাংলায় মুর্শিদকুলি খান
গভর্নর নিযুক্ত

👉🏾১৭৩৯ নাদির শাহের ভারত আক্রমণ, দিল্লি লুণ্ঠন

👉🏾১৭৪২ বাংলায় মারাঠা বর্গী আক্রমণ

👉🏾১৭৫৬ আলিবর্দি খানের মৃত্যু, সিংহাসনে সিরাজ-
উদ-দউলা

👉🏾১৭৫৭ পলাশির যুদ্ধ, ব্রিটিশ সেনাপতি লর্ড
ক্লাইভের হাতে সিরাজ-উদ-দউলার পরাজয় ও
মৃত্যু, ভারতে ব্রিটিশ রাজনৈতিক শাসনের শুরু

👉🏾১৭৬১ পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ দ্বিতীয় শাহ আলম
ভারতের সম্রাট হন

👉🏾১৭৬৪ বক্সারের যুদ্ধ

👉🏾১৭৬৫ ক্লাইভ ভারতে কোম্পানির গভর্নর নিযুক্ত হন

👉🏾১৭৬৭-৬৯ মহিশুরের প্রথম যুদ্ধ

👉🏾১৭৭০ ভারতের কুখ্যাত দুর্ভিক্ষ, বাংলায় যা
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত

👉🏾১৭৭৪ ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত, কলকাতায় সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠা

১৭৭৫ মহারাজ নন্দকুমারের বিচার ও ফাঁসি

১৭৮০ মহারাজা রঞ্জিত সিংহের জন্ম; কলকাতা থেকে জেমস অগাস্টাস হিকি 'বেঙ্গল গেজেট' নামে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম ছাপা কাগজ প্রকাশ করলেন

১৭৮০-৮৪ মহিশুরের দ্বিতীয় যুদ্ধ

১৭৮৪ পিটের ভারত আইন

১৭৮৬ লর্ড কর্নওয়ালিস গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত

১৭৯০-৯২ মহিশুরের তৃতীয় যুদ্ধ

১৭৯৩ বাংলায় রাজস্ব ক্ষেত্রে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু, লর্ড কর্নওয়ালিসের অবসর স্যার জন শোর গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত

১৭৯৮ লর্ড ওয়েলেসলি গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত

১৭৯৯ মহিশুরের চতুর্থ যুদ্ধ, টিপু সুলতানের মৃত্যু:

বাংলার শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা


🛑১৮০০- ১৯০০ খ্রিস্টাব্দ

👉🏾১৮০২ পুনের যুদ্ধ ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও
মারাঠাদের মধ্যে বেসিনের চুক্তি, মারাঠা সাম্রাজ্যে ব্রিটিশের প্রবেশের পথ প্রশস্ত

👉🏾১৮০৯ অমৃতসরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও রঞ্জিত সিংহের চুক্তি

👉🏾১৮১৪ রাজা রামমোহন রায়ের আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা

👉🏾১৮১৭ কলকাতায় হিন্দু কলেজ (এখনকার
প্রেসিডেন্সি কলেজ) প্রতিষ্ঠা

👉🏾১৮২০ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম

👉🏾১৮২৪ দয়ানন্দ সরস্বতীর জন্ম

👉🏾১৮২৮ লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক গভর্নর জেনারেল:
রাজা রামমোহন প্রতিষ্ঠা করলেন ব্রাহ্মসমাজ

👉🏾১৮২৯ রামমোহনের উদ্যোগে লর্ড বেন্টিঙ্ক নিষিদ্ধ
করলেন সতীদাহ প্রথা

👉🏾১৮৩০ ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা রাজা রামমোহন
রায়ের বিলাত যাত্রা

👉🏾১৮৩৩ রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যু

👉🏾১৮৩৬ শ্রীরামকৃষ্ণের জন্ম

👉🏾১৮৩৯ মহারাজা রঞ্জিত সিংহের মৃত্যু

👉🏾১৮৩৯-৪২ প্রথম আফগান যুদ্ধ

👉🏾১৮৪৫-৪৬ প্রথম ইংরেজ-শিখ যুদ্ধ

👉🏾১৮৪৮ লর্ড ডালহৌসি গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত

👉🏾১৮৫৩ প্রথম রেলওয়ে লাইন চালু হয় বোম্বাই এবং খানের মধ্যে এবং কলকাতা থেকে আগ্রা পর্যন্ত টেলিগ্রাফ লাইন চালু

👉🏾১৮৫৬ লর্ড ক্যানিং গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত

👉🏾১৮৫৭ সিপাহি বিদ্রোহ বা স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ ; কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন

👉🏾১৮৫৮ সিপাহি বিদ্রোহ দমন, মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহের বিচার, ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার ঘোষণা ও কোম্পানি শাসনের বিলুপ্তি, ব্রিটিশ ভারতের প্রথম ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং

👉🏾১৮৬১ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম

👉🏾১৮৬৩ স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম

👉🏾১৮৬৯ মহাত্মা গান্ধীর জন্ম

👉🏾১৮৭৫ আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠা

👉🏾১৮৭৭ প্রথম দিল্লি দরবার, রানি ভিক্টোরিয়া
ভারতের সম্রাজ্ঞী ঘোষণা

👉🏾১৮৮৫ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা

👉🏾১৮৮৬ শ্রীরামকৃষ্ণের প্রয়াণ

👉🏾১৮৯১ বি আর আম্বেদকরের জন্ম

👉🏾১৮৯৩ শিকাগো ধর্ম মহাসভায় স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতা ও বিশ্বজয়

👉🏾১৮৯৭ সুভাষচন্দ্র বসু ও বিদ্রোহী কবি নজরুলের
জন্ম

🛑১৯০১- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ

👉🏾১৯০২ বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতির জন্ম। স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ

👉🏾১৯০৫ লর্ড কার্জনের অধীনে প্রথম বঙ্গ ভঙ্গ স্বাধীনতা আন্দোলনে স্বদেশি ও বয়কট শুরু, ভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গ

👉🏾১৯০৬ ঢাকায় মুসলিম লিগের প্রতিষ্ঠা

👉🏾১৯০৮ মজফফরপুরে কলকাতা প্রেসিডেন্সির
ম্যাজিস্ট্রেটকে হত্যা করতে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট,
পুলিশের হাতে ধরা দেওয়ার আগে আত্মঘাতী প্রফুল্ল
চাকি, ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি

👉🏾১৯০৯ মরলি-মিন্টো সংস্কার

👉🏾১৯১১ ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম জর্জ ও তাঁর পত্নীর ভারতে আগমন, বঙ্গ ভঙ্গ রদ, রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরানো হল

👉🏾১৯১৩ ররীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার জয়,
গদর পার্টির প্রতিষ্ঠা

👉🏾১৯১৪ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু

👉🏾১৯১৫ মহাত্মা গান্ধী ভারতে ফিরলেন

👉🏾১৯১৬ মুসলিম লিগ এবং কংগ্রেসের লখনউ চুক্তি সেই

👉🏾১৯১৭ চম্পারন ও খেড়িয়া সত্যাগ্রহ

👉🏾১৯১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়।

👉🏾১৯১৯ মন্টেগু-চেমসফোর্ড রিফর্ম প্রবর্তিত : অমৃতসরে জালিওয়ানাবাগে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথের স্যার উপাধি ত্যাগ

👉🏾১৯২০ খিলাফত আন্দোলন শুরু. মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে আইন অমান্য আন্দোলন

👉🏾১৯২২ চৌরিচৌরার ঘটনা, আইন অমান্য
আন্দোলন প্রত্যাহার

👉🏾১৯২৫ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ প্রয়াত

👉🏾১৯২৭ সাইমন কমিশন নিযুক্ত

👉🏾১৯২৮ সাইমন কমিশনের ভারতে আগমন, দেশ জুড়ে বয়কট আন্দোলন, বরদলি সত্যাগ্রহ, লালা লাজপত রায়ের (শের-ই পাঞ্জাব) মৃত্যু

👉🏾১৯২৯ লাহোর কংগ্রেসে পূর্ণ স্বাধীনতার সিদ্ধান্ত অনুমোদন

👉🏾১৯৩০ আইন অমান্য আন্দোলন শুরু; মহাত্মা গান্ধীর ডান্ডি অভিযান: প্রথম রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স: সূর্য সেনের নেতৃত্বে ৬৫ জন বিপ্লবীর চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, বন্দুকের লড়াইয়ে ৮০ জন রক্ষী ও ১২ জন বিপ্লবীর মৃত্যু, সূর্য সেন-সহ বহু বিপ্লবী পলাতক, পরে অনেকেই ধৃত; বিনয়- বাদল-দীনেশের রাইটার্স বিল্ডিংস আক্রমণ আইজি (প্রিজনস) সিম্পসনকে হত্যা, ধরা পড়ে বাদল বিষ খেয়ে আত্মঘাতী, নিজেদের গুলি করে বিনয় ও দীনেশ, ৫ দিন পরে বিনয়ের মৃত্যু, দীনেশ সুস্থ, বিচারে ফাঁসি ১৯৩১-এর জুলাইয়ে 

👉🏾১৯৩১ গান্ধী-আরউইন চুক্তি, লাহোর ষড়যন্ত্র
মামলায় ভগত সিংহ, সুখদেব ও রাজগুরুর ফাঁসি

👉🏾১৯৩২ গান্ধীর জেল, কংগ্রেস নিষিদ্ধ; চট্টগ্রাম মামলার রায়, ১২ জনের যাবজ্জীবন, সূর্য সেন তখনও অধরা

👉🏾১৯৩৩ মাস্টারদা সূর্য সেন ধৃত

👉🏾১৯৩৪ সূর্য সেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসি ১৯৩৭ প্রাদেশিক স্বশাসন, ৬টি কংগ্রেস মন্ত্রিসভা

👉🏾১৯৩৯ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু (সেপ্টেম্বর): সুভাষচন্দ্রের কংগ্রেস ত্যাগ ও ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠা

👉🏾১৯৪০ মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে প্রস্তাব পাকিস্তান 

👉🏾১৯৪১ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভারত থেকে অন্তর্ধান

 👉🏾১৯৪২ ক্রিল মিশনের ভারত আগমন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু; সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন

👉🏾১৯৪৩ আর্জি হুকুমত-ই-আজাদ হিন্দ স্বাধীন - ভারতের অস্থায়ী সরকার গড়ার কথা ঘোষণা নেতাজির, লর্ড ওয়াভেল ভাইসরয় নিযুক্ত

👉🏾১৯৪৪ মহাত্মা গান্ধীকে জাতির জনক আখ্যা দিলেন নেতাজি

👉🏾১৯৪৫ রেড ফোর্টে আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিচার শুরু, ওয়াভেল প্ল্যান, সিমলা অধিবেশন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত

👉🏾১৯৪৬ নৌ বিদ্রোহ: ভারতে ক্যাবিনেট মিশন কেন্দ্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, গণ পরিষদ গঠিত মুসলিম লিগের ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে পালন, কলকাতায় রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা, ঢাকা-নোয়াখালি- বিহারে দাঙ্গা

👉🏾১৯৪৭ লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভাইসরয় হলেন, স্বাধীনতা নিয়ে মাউন্টব্যাটেনের ঘোষণা, ভারত ভাগ; ভারত ও পাকিস্তান আলাদা স্বাধীন দেশ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন জওহরলাল নেহরু


🛑১৯৪৮- ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ

👉🏾১৯৪৮ মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা (৩০শে জানুয়ারি); ক্ষুদ্র রাজ্যগুলিকে অঙ্গীভূতকরণ 

👉🏾১৯৪৯ কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি; ভারতীয় সংবিধানে 
সাক্ষর এবং গৃহীত (২৬শে নভেম্বর)

👉🏾১৯৫০ ভারতবর্ষ একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হল (২৬ জানুয়ারি) এবং ভারতবর্ষের সংবিধানের পথ চলা শুরু, প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেন ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ

👉🏾১৯৫১ দিল্লিতে প্রথম এশিয়ান গেমস অনুষ্ঠিত

👉🏾১৯৫২ লোকসভার প্রথম সাধারণ নির্বাচন. কংগ্রেস ক্ষমতায়

👉🏾১৯৫৩ তেনজিং নোরগে এবং স্যার এডমন্ড হিলারির মাউন্ট এভারেস্ট জয়

👉🏾১৯৫৭ দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন, কংগ্রেসের জয়; দশমিক মুদ্রার মুদ্রার প্রচলন, গোয়া মুক্ত

👉🏾১৯৬২ তৃতীয় সাধারণ নির্বাচন, কংগ্রেসের জয়; চিন-ভারত যুদ্ধ ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হলেন ড. সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ

👉🏾১৯৬৪ নাগাল্যান্ড ১৬ তম ভারতীয় রাজ্য: জওহরলাল নেহেরুর মৃত্যু, অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী গুলজারিলাল নন্দ, প্রধানমন্ত্রী হলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী

👉🏾১৯৬৫ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ

👉🏾১৯৬৬ তাসখন্দ চুক্তি; লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু,
অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী গুলজারিলাল নন্দ, ইন্দিরা গান্ধী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত

👉🏾১৯৬৭ চতুর্থ সাধারণ নির্বাচন, কংগ্রেসের জয়; ডঃ জাকির হোসেন ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত

👉🏾১৯৬৯ ভি ভি গিরি ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ; প্রধান ব্যাংকসমূহের জাতীয়করণ, কংগ্রেস দু ভাগ

👉🏾১৯৭০ মেঘালয়কে রাজ্যরূপে ঘোষণা

👉🏾১৯৭১ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাংলাদেশের জন্ম পঞ্চম সাধারণ নির্বাচন, ইন্দিরা গান্ধীর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আর) ক্ষমতায়

👉🏾১৯৭২ ভারত-পাকিস্তান সিমলা চুক্তি

👉🏾১৯৭৩ মহিশুর রাজ্যের নতুন নামকরণ হয় কর্নাটক

👉🏾১৯৭৫ ভারত আণবিক বোমা ফাটায়: ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ পঞ্চম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সিকিম ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়

👉🏾১৯৭৫ ভারত আর্যভট্ট উৎক্ষেপণ করে; সিকিম ভারতের ২২তম রাজ্য হয়; জরুরি অবস্থা জারি

👉🏾১৯৭৭ ষষ্ঠ সাধারণ নির্বাচন, ইন্দিরা গান্ধী পরাজিত, জয়প্রকাশ নারায়ণের আদর্শে গঠিত জনতা পার্টি লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কেন্দ্রে প্রথম অকংগ্রেসি সরকার গঠন, মোরারজি দেশাই প্রধানমন্ত্রী হন। নীলম সঞ্জীব রেড্ডি ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। জরুরি অবস্থায় বাড়াবাড়ির অভিযোগে ইন্দিরা গান্ধী গ্রেফতার হন। তাঁর বিরুদ্ধে শাহ কমিশন বসানো হয়।

🛑১৯৭৮-২০ ১৪ খ্রিস্টাব্দ


👉🏾১৯৭৯ নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ির মাসুল দিয়ে জনতা সরকার ভেঙে যায়। মোরারজি দেশাই প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন; চরণ সিং প্রধানমন্ত্রী হন; চরণ সিং পদত্যাগ করেন; ষষ্ঠ লোকসভা ভেঙে যায়

👉🏾১৯৮০ সপ্তম সাধারণ নির্বাচন : ইন্দিরা কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন; বিমান ভেঙে পড়ে সঞ্জয় গান্ধী মারা যান। ভারতবর্ষ রোহিণী বহনকারী এসএলভি-৩ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে।

👉🏾১৯৮২ ইনস্যাট-১ এ উৎক্ষেপণ করা হয়; জৈল সিং ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন : দিল্লিতে নবম এশিয়াড

👉🏾১৯৮৪ পাঞ্জাবে অপারেশন ব্লু স্টার; রাকেশ শর্মার মহাকাশ যাত্রা: শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা: রাজীব প্রধানমন্ত্রী হন

👉🏾১৯৮৫ রাজীব-লঙ ওয়াল শান্তিচুক্তি পাঞ্জাবে সন্ত এইচ. এস. লঙওয়ালকে হত্যা; অসম শান্তিচুক্তি

👉🏾১৯৮৬ মিজোরাম শান্তিচুক্তি

👉🏾১৯৮৭ আর ভেংকটরামন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত;

👉🏾১৯৮৯ কংগ্রেস ভোটে হারে এবং পদত্যাগ করে (নভেম্বরে ২৯); ন্যাশনাল ফ্রন্ট নেতা বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন, ওড়িশা থেকে ভারতের প্রথম আইআরবিএম "অগ্নি" উৎক্ষেপণ (মে ২২); ত্রিশুল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষামূলক ভাবে ছোড়া হয় (জুন ৫); পৃথ্বীর দ্বিতীয় সফল উৎক্ষেপণ (সেপ্টেম্বর ২৭)

👉🏾১৯৯০ জনতা দল ভেঙে যায়: বিজেপি সরকারে সমর্থন প্রত্যাহার করে; মণ্ডল রিপোর্ট বাস্তবায়িত করার কথা ঘোষণা করেন বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ : রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক নিয়ে অযোধ্যায় গন্ডগোল, চন্দ্রশেখর প্রধানমন্ত্রী হন

👉🏾১৯৯১ রাজীব গান্ধীকে হত্যা (মে ২১): দশম লোকসভা গঠন (জুন ২০); কংগ্রেসের পি. ভি. নরসীমা রাও প্রধানমন্ত্রী।

👉🏾১৯৯২ শঙ্করদয়াল শর্মা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত (জুলাই ২৫); প্রথম স্বদেশে তৈরি সাবমেরিন আইএনএস শক্তি চালু হয় (ফেব্রুয়ারি ৭) : অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস (৬ ডিসেম্বর) দেশ জুড়ে গণ্ডগোল

👉🏾১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণে ৩০০ মানুষের মৃত্যু

👉🏾১৯৯৪ অসামরিক বিমান চলাচলে সরকারের একচ্ছত্র অধিকার শেষ; সুস্মিতা সেন বিশ্বসুন্দরী
ইউনিভার্স) হন: ঐশ্বর্য রাই বিশ্বসুন্দরী (ওয়ার্ল্ড) হন

👉🏾১৯৯৬ কয়েক জন রাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিরোধী নেতা হাওয়ালা কাণ্ডে অভিযুক্ত হন ভারতীয় মহাশূন্য গবেষণায় নব যুগের সূচনা করে পিএসএলভি ডিও উৎক্ষেপণ হয় আই আর এস পি-৩-এর সাথে ; একাদশ সাধারণ নির্বাচন হয় এপ্রিলে বিজেপি একক সর্ববৃহৎ দল হয়, অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী হন। সরকার পড়ে যায়। যুক্ত ফ্রন্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন এইচডি দেবগৌড়া

👉🏾১৯৯৭ যুক্তফ্রন্ট সরকারের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হন। আই কে গুজরাল। ভারতবর্ষ স্বাধীনতার ৫০তম বছর উদযাপন করে। কে আর নারায়ণন রাষ্ট্রপতি হন। 

👉🏾১৯৯৮ মাদার টেরেসার মৃত্যু: অটলবিহারী বাজপেয়ী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন; ভারত পোখরানে তার দ্বিতীয় পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ করে ১৯৯০ কার্গিল যুদ্ধ, বাজপেয়ী সরকারের পতন, পুনরায় নির্বাচনে ক্ষমতায় ফেরে এনডিএ। বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী হন।

👉🏾২০০০ তিনটি নতুন রাজ্য ছত্তিসগড় এবং ঝাড়খণ্ড গঠিত হয়।


👉🏾২০০২ ক্ষেপণাস্ত্র বিজ্ঞানী ৭১ বছরের আঙুল পাকির জয়নুলাবদিন আব্দুল কালাম ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন; গুজরাতে সাম্প্রতিক ইতিহাসের একটি ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।

👉🏾২০০৪ প্রথম ইউপিএ সরকার গঠন। মনমোহন
সিংহ প্রধানমন্ত্রী।

👉🏾২০০৭ ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন প্রতিভা পাটিল

👉🏾২০০৮ মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলা, ১৬৪ জনের মৃত্যু ২০০৯ দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার গঠন। ফের প্রধানমন্ত্রী হলেন মনমোহন সিংহ। লোকসভার প্রথম মহিলা অধ্যক্ষ হলেন মীরা কুমার।

👉🏾২০১২ ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি হলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়

👉🏾২০১৪ তিরিশ বছর পর প্রথম একক দল হিসেবে - লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল বিজেপি। এনডিএ সরকার গঠন। প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদি।

Tuesday, July 18, 2023

Capital Punishments: News & Views

চিনে শিক্ষিকার ফাঁসি হল


Compilation: Rabi Roy

আজ থেকে শুরু হলো প্রাসঙ্গিক 
বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ। সারা বিশ্ব সম্পর্কেই তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হবে। যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহের পর যদি সম্ভব হয় তাহলে পুস্তিকা প্রকাশ করার দায়িত্ব নেওয়া হবে।
---------------------------------------------------------
৬ মাসে ৩৫৪ জনের ফাঁসি ইরানে

তেহরান, ৩ জুলাই: চলতি বছরের প্রথম ছ'মাসে ইরান অন্তত ৩৫৪ জনকে ফাঁসি দিয়েছে বলে সোমবার একটি মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন ছ'জন মহিলা। দুজন পুরুষের ফাঁসি হয়েছে প্রকাশ্যে। 'ইরান হিউম্যান রাইটস' (আইএইচআর) নামে নরওয়ে ভিত্তিক এই সংগঠন রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, ২০২২ সালের এই সময়পর্বে ফাঁসি হয়েছিল ২৬১ জনের। দাবি করা হয়েছে, এ বছর জুন পর্যন্ত মাদক সংক্রান্ত মামলায় ২০৬ জনের ফাঁসি হয়েছে, যাদের অধিকাংশই প্রান্তিক গোষ্ঠীর মানুষজন। সংখ্যাটা গত বছরের তুলনায় ১২৬ শতাংশ বেশি। একটি সাম্প্রতিক রিপোর্টে ইরানের বর্তমান সরকারকে 'মানুষ মারার কল' বলে উল্লেখ করেছে আইএইচআর। এই পরিসংখ্যানে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও।     সংবাদ সংস্থা
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা ০৪.০৭.২০২৩





 
ইনি   ইরানের  ফাঁসিপ্রাপ্ত এক  তরুণী।  পেশায়  ছিলেন  ইনটেরিয়র  ডিজাইনার।  ইজ্জত  বাঁচাতে  আত্মরক্ষার  তাগিদে  তিনি খুন
করতে বাধ্য  হয়েছিলেন  এক কামুক  পুরুষকে। তাঁর অভিমান ছিল,  দুনিয়ার কেউ তাঁকে ভালোবাসে নি।  ফাঁসিতে মৃত্যুর  আগে ২৬ বছরের  মেয়েটা বলেছিল, তার  দেহ  যেন  মাটির  তলায়  পচানো না হয়।  তার অঙ্গদান করে দিতে হবে যাদের সেসব অঙ্গ দরকার। তাই  করা হয়েছে।
  
রেহানে,  কুমারী মাটির বুকে তুমি তোপে  মরণোত্তর ভালোবাসা। আর তুমি দিয়ে  গেলে ক'জন মৃত্যুপথযাত্রী মানুষকে  তোমার মানবিক ভালোবাসা। 
তুমি ঘুমোও, হে  মহান মানবপ্রমী।  আমরা জেগে আছি তোমার কথা সব্বাইকে  জানানোর জন্য  ।

ফাঁসির মঞ্চ হতে মাকে লেখা ইরানী মেয়ে রেহানে জাবারির মর্মস্পর্শী শেষ চিঠি:
    
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ধর্ষনের পর আঁততায়ীর (ধর্ষকের) বুকে ছুরি বসানোর অপরাধে প্রাণদণ্ড দেয় ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। ফাঁসির মঞ্চ হতে মাকে লেখা সেই ইরানী মেয়ে রেহানে জাবারির শেষ চিঠি পাওয়া গেছে।

২২ অক্টোবর (?) ফাঁসি হয়ে গেছে রেহানে জাবারির। বয়স হয়েছিল মাত্র ২৬ বছর। ধর্ষনের পর আঁততায়ীর (ধর্ষকের) বুকে ছুরি বসানোর অপরাধে তাকে প্রাণদণ্ড দেয় ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। রেহানের ফাঁসির আদেশের বিরোধিতা করে আসছিল গোটা বিশ্বের অজস্র মানবাধিকার সংগঠন। প্রাণভিক্ষার আরজি জানান দুনিয়ার তাবৎ জননেতারা। মেয়ের বদলে তাকেই ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হোক বলে মিনতি করেছিলেন রেহানের মা শোলেহ। কিন্তু কোনো কিছুতেই কান দেয়নি সরকার। ভোরের আলো ফোটার আগেই নিভিয়ে দেওয়া হয় তরতাজা একটি জীবনদীপ।

মৃত্যুর আগে রেহানে মাকে শেষ চিঠি লিখে গিয়েছেন। হৃদয় নিংড়ানো সেই চিঠিতে মাকে শোকগ্রস্ত হতে বারণ করেছেন তিনি। মৃত্যুকে তিনি অভিহিত করেছেন নিয়তির বিধান হিসেবেই। তবে রেহানে তিলমাত্র অনুতাপ করেননি, বরং ফাঁসির পর তার দেহাংশ দান করার অনুরোধ করেছেন জন্মদাত্রীকে। রেহানের সেই মর্মস্পর্শী চিঠি গণমাধ্যমের হাতে তুলে দিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন এবং শান্তিকামী গোষ্ঠীর সদস্যরা। মাকে লেখা রেহানে জাবারির শেষ চিঠিটি নিচে হুবহু প্রকাশ করা হলো:

মাকে লেখা রেহানে জাবারির শেষ চিঠি

প্রিয় শোলেহ,

আজ জানতে পারলাম এবার আমার কিসাস (ইরানের আইনব্যবস্থায় কর্মফলবিষয়ক বিধি)-এর সম্মুখীন হওয়ার সময় হয়েছে। জীবনের শেষ পাতায় যে পৌঁছে গিয়েছি, তা তুমি নিজের মুখে আমায় জানাওনি ভেবে খারাপ লাগছে। তোমার কি মনে হয়নি যে এটা আমার আগেই জানা উচিত ছিল? তুমি দুঃখে ভেঙে পড়েছ জেনে ভীষণ লজ্জা পাচ্ছি। ফাঁসির আদেশ শোনার পর তোমার আর বাবার হাতে চুমু খেতে দাওনি কেন আমায়?

দুনিয়া আমায় ১৯ বছর বাঁচতে দিয়েছে। সেই অভিশপ্ত রাতে আমারই তো মরে যাওয়া উচিত ছিল, তাই না? আমার মৃতদেহ ছুড়ে ফেলার কথা ছিল শহরের কোনো অজ্ঞাত কোণে। কয়েক দিন পর মর্গে যা শনাক্ত করার কথা ছিল তোমার। সঙ্গে এটাও জানতে পারতে যে হত্যার আগে আমাকে ধর্ষণও করা হয়েছিল। হত্যাকারীরা অবশ্যই ধরা পড়ত না, কারণ আমাদের না আছে অর্থ, না ক্ষমতা। তারপর বাকি জীবনটা সীমাহীন শোক ও অসহ্য লজ্জায় কাটিয়ে কয়েক বছর পর তোমারও মৃত্যু হতো। এটাই যে হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু সে রাতের আকস্মিক আঘাত সব কিছু ওলোটপালট করে দিল। শহরের কোনো গলি নয়, আমার শরীরটা প্রথমে ছুড়ে ফেলা হলো এভিন জেলের নিঃসঙ্গ কুঠুরিতে, আর সেখান থেকে কবরের মতো এই শাহর-এ রায় কারাগারের সেলে। কিন্তু এ নিয়ে অনুযোগ ক'রো না মা, এটাই নিয়তির বিধান। আর তুমি তো জানো যে মৃত্যুতেই সব শেষ হয়ে যায় না।

মা, তুমিই তো শিখিয়েছ অভিজ্ঞতা লাভ ও শিক্ষা পাওয়ার জন্যই আমাদের জন্ম। তুমি বলেছিলে, প্রত্যেক জন্মে আমাদের কাঁধে এক বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া থাকে। মাঝে মাঝে লড়াই করতে হয়, সে শিক্ষা তো তোমার থেকেই পেয়েছি। সেই গল্পটা মনে পড়ছে, চাবুকের ঝাপ্টা সহ্য করতে করতে একবার প্রতিবাদ জানানোর ফলে আরও নির্মমতার শিকার হয়েছিল এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়। কিন্তু প্রতিবাদ তো সে করেছিল! আমি শিখেছি, সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে অধ্যবসায় প্রয়োজন। তার জন্য যদি মৃত্যুও আসে, তাকেই মেনে নিতে হয়।

স্কুলে যাওয়ার সময় তুমি শিখিয়েছিলে, নালিশ ও ঝগড়াঝাটির মাঝেও যেন নিজের নারীসত্ত্বাকে বিসর্জন না দিই। তোমার মনে আছে মা, কত যত্ন করেই না মেয়েদের খুঁটিনাটি সহবত শিখিয়েছিলে আমাদের? কিন্তু তুমি ভুল জানতে মা। এই ঘটনার সময় আমার সে সব তালিম একেবারেই কাজে লাগেনি। আদালতে আমায় এক ঠাণ্ডা মাথার খুনি হিসেবে পেশ করা হয়। কিন্তু আমি চোখের পানি ফেলিনি। ভিক্ষাও করিনি। আমি কাঁদিনি কারণ আইনের প্রতি আমার অটুট আস্থা ছিল।

কিন্তু বিচারে বলা হলো, খুনের অভিযোগের মুখেও নাকি আমি নিরুত্তাপ। আচ্ছা মা, আমি তো কোনোদিন একটা মশাও মারিনি। আরশোলাদের চটিপেটা না করে শুঁড় ধরে জানলার বাইরে ফেলে দিয়েছি। সেই আমিই নাকি মাথা খাটিয়ে মানুষ খুন করেছি! উল্টো ছোটবেলার ওই কথাগুলো শুনে বিচারপতি বললেন, আমি নাকি মনে মনে পুরুষালি। তিনি একবার চেয়েও দেখলেন না, ঘটনার সময় আমার হাতের লম্বা নখের ওপর কী সুন্দর নেল পালিশের জেল্লা ছিল। হাতের তালু কত নরম তুলতুলে ছিল। সেই বিচারকের হাত থেকে সুবিচার পাওয়ার আশা অতি বড় আশাবাদীও করতে পারে কি? তাই তো নারীত্বের পুরস্কার হিসেবে মাথা মুড়িয়ে ১১ দিনের নির্জনবাসের হুকুম দেওয়া হলো। দেখেছ মা, তোমার ছোট্ট রেহানে এই কয়েক দিনেই কতটা বড় হয়ে গিয়েছে?

এবার আমার অন্তিম ইচ্ছেটা বলি শোনো। কেঁদো না মা, এখন শোকের সময় নয়। ওরা আমায় ফাঁসি দেওয়ার পর আমার চোখ, কিডনি, হৃদযন্ত্র, হাড় আর যা যা কিছু দরকার যেন আর কারও জীবন রক্ষা করতে কাজে লাগানো হয়। তবে যিনিই এসব পাবেন, কখনোই যেন আমার নাম না জানেন। আমি চাই না এর জন্য আমার সমাধিতে কেউ ফুলের তোড়া রেখে আসুক। এমনকি তুমিও নয়। আমি চাই না আমার কবরের সামনে বসে কালো পোশাক পরে কান্নায় ভেঙে পড়ো তুমি। বরং আমার দুঃখের দিনগুলো সব হাওয়ায় ভাসিয়ে দিও।

এই পৃথিবী আমাদের ভালোবাসেনি, মা। চায়নি আমি সুখী হই। এবার মৃত্যুর আলিঙ্গনে তার পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে। তবে সৃষ্টিকর্তার এজলাসে সুবিচার আমি পাবই। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি অভিযোগের আঙুল তুলব সেই সমস্ত পুলিশ অফিসারের দিকে, বিচারকদের দিকে, আইনজীবীদের দিকে, আর তাদের দিকে যারা আমার অধিকার বুটের নিচে পিষে দিয়েছে, বিচারের নামে মিথ্যা ও অজ্ঞানতার কুয়াশায় সত্যকে আড়াল করেছে। একবারও বোঝার চেষ্টা করেনি, চোখের সামনে যা দেখা যায় সেটাই সর্বদা সত্যি নয়।

আমার নরম মনের শোলেহ, মনে রেখো সেই দুনিয়ায় তুমি আর আমি থাকব অভিযোগকারীর আসনে। আর ওরা দাঁড়াবে আসামির কাঠগড়ায়। দেখিই না, সৃষ্টিকর্তা কী চান! তবে একটাই আরজি, মৃত্যুর হাত ধরে দীর্ঘ যাত্রা শুরুর প্রাক মুহূর্ত পর্যন্ত তোমায় জড়িয়ে থাকতে চাই, মাগো! তোমায় যে খুব খু-উ-ব ভালোবাসি.

(সংগৃহীত)

Wednesday, July 12, 2023

Glimpses of World History 👦 A Handbook of Brief Historical Accounts ।। Pre-history Events ।। Compiled & Edited by Rabi Roy ।। Chapter 1 Page 1





        This work is dedicated to:
slaves, serfs, peasantry, craftsmen, workers and many others of toiling masses of different identities, discoverers and inventors whose names are never seen in the pages of history written so long, but each and every civilization is based on whose blood, sweat and labor and who are, in fact, the real engineers of all civilisations.


This documentation has been created purely for historical purposes.

PREHISTORY

[Pre-history means literally “before history”, from the Latin word for “before,” præ, and Greek ιστορία.

c.  6,000,000,000:The estimated age of the Solar System (variously estimated as 4,700,000,000 to 6,500,000,000)

c.  3,000,000,000: Moon parted from Earth. Earth formed around 4.54 billion years ago, approximately one-third the age of the universe, by accretion from the solar nebula

c.  1,200,000,000: The lowest form of life appeared in the sea (algæ).

c.  570,000,000: Cambrian Age: trilobites and sponges in the sea.

c.  500,000,000: Ordovician Age, so-named by Lapworth (1879): considerable changes in positions of oceans; sea snails found; the climate was generally hot. 

c.  440,000,000: Silurian Age: vertebrate animals developed; large sea scorpions; first land plants (leafless) appeared.

c.  395,000,000: Devonian Age: active volcanoes formed mountains; osteichthyes[1], bony fishes existed; leafy land plants and trees developed; wingless creatures left the sea and came ashore; period of old red sandstone.

c.  340,000,000: Carboniferous Age: giant trees yielding our coal; development of amphibian reptiles; legs first appeared.

c.  275,000,000: Permian Age: rapid development of land life gradually dominating life in the sea but still mainly reptilian.

c.  225,000,000: Triassic Age: development of ichthyosaurus and crustacean ancestors; first evolution of the dinosaurs, two distinct orders (Saurischia and Ornithischia); originally these creatures were bipedal, but later often became quadrupedal. Winged insects and small mammals were in evidence; palm ferns appeared.

c.  195,000,000: Jurassic Age: a period of limestone formation; great increase in size of dinosaurs---principal age of the great reptiles; first bird, archaeopteryx having teeth and reptilian characteristics; ammonites in the sea.

c.  140,000,000: Australia severed from land-mass Asia: cause of continued existence of primitive animal life on the continent.

What Is A Continent?

c.  136,000,000: Cretaceous Age: chalk foundations laid; great areas of swamp bordered the seas; terrible and fantastic lizards developed, including pterodactyls; earliest beginnings of warm-blooded mammals.





c.  65,000,000: Eocene Age: the disappearance of dinosaurs and marine reptiles; rapid development of mammals; early on, dinotherium, mastodon and saber-toothed tiger.

c. 225,000,000     First evolution of the dinosaurs

c. 65,000,000     Disappearance of dinosaurs



---

Q. When does man first find out about dinosaurs?

A. No human being has ever met a dinosaur alive. Dinosaurs were animals that inhabited most parts of the world, but they died everywhere about 6,500,000 years ago. Dinosaurs were extinct when humans came into the world.

Dinosaurs are known to us because of their remains. These are bones, found in skeletons or separately; footprints in the rock; skin-prints, also in the rock; and eggs.

There is some doubt as to when the first recognizable dinosaur bones were discovered. Footprints have been known for many years. A dinosaur skeleton may have been seen at Haddonfield, New Jersey, toward the end of the 1770s. 

The first bones that are still available for examination and identification are some that were discovered in England. One set was found in 1822 and is now in the British Museum of Natural History in London. 

Another set of dinosaur bones found about the same time was the basis for the first scientific description of any dinosaur. This was done in 1824 by a professor at Oxford University.

So it appears that human knowledge of dinosaurs is quite recent. 

Dinosaur specimens have been found in great numbers in the United States, Canada, Argentina, Brazil, India, Africa, Australia, Mongolia, China, France, Germany, Portugal and the Soviet Union (which no longer exists in the 20th century). This indicates that dinosaurs really lived all over the world. - 16/11/2022

---


c.  38,000,000: Oligocene Age: extension of land masses; monkeys and apes existed.

What’s the Difference Between Monkeys and Apes?

Chimpanzee (Pan troglodytes) in the forest. Ape mammal animal close up face
© Uryadnikov Sergey/Fotolia

Monkeys and apes are both primates, which means they’re both parts of the human family tree. As distinguished relatives, we should probably be able to tell them apart. But when you look at a gibbon or a marmoset, how do you know which is a monkey and which is an ape?

The quickest way to tell the difference between a monkey and an ape is by the presence or absence of a tail. Almost all monkeys have tails; apes do not. Their bodies are different in other ways too: monkeys are generally smaller and narrow-chested, while apes are larger and have broad chests and shoulder joints that allow them to swing through trees (while some monkeys also have this ability, most of them are built for running across branches rather than swinging). Although you can’t recognize this difference on sight, apes have an appendix and monkeys do not. Apes are generally more intelligent than monkeys, and most species of apes exhibit some use of tools. While both monkeys and apes can use sounds and gestures to communicate, apes have demonstrated higher ability with language, and some individual apes have been trained to learn human sign languages.

However, perhaps the best way to remember, like with so many things, is rote memorization. There are only a handful of ape species, while there are hundreds of species of monkeys. If the primate you’re trying to place is not a humangibbonchimpanzeebonoboorangutan, or gorilla (or a lemurloris, or tarsier), then it’s a monkey.

---

c.  26,000,000: Miocene Age: the appearance of primitive anthropoid ape (proconsul); many forms of waterfowl; great sharks in the sea.
The estimated age of the Himalayas.



c.  7,000,000: Pliocene Age: present forms of continent developed; anthropoid apes flourished.


c.  2,000,000: Pleistocene Age: a period of recurrent ice ages which had a profound effect on planet life; Australopithecus and Homohabilis, which may have developed into man, existed; colitis of this period may or may not be of artificial construction; insects probably existed.  

c.  500,000: Man-like creatures (Pithecanthropus) used primitive stone implements; fire came into use; the emergence of the Palaeolithic Age.

***

The major source of information: ENCYCLOPAEDIA OF DATES AND EVENTS
Edited by L. C. Pascoe
---
Compiler Rabi Roy is grateful to his friend Swapan Chakraborty, a footpath book-seller of Kolkata, India as well as a thinker, for this part of the book.


[1] Osteichthyes, popularly referred to as the bony fish, is a diverse taxonomic group of fish that have skeletons primarily composed of bone tissue. They can be contrasted with the Chondrichthyes, which have skeletons primarily composed of cartilage. The vast majority of fish are members of Osteichthyes, which is an extremely diverse and abundant group consisting of 45 orders, over 435 families, and 28,000 species. It is the largest class of vertebrates in existence today. The group Osteichthyes is divided into ray-finned fish (Actinopterygii) and lobe-finned fish (Sarcopterygii). The oldest known fossils of bony fish are about 425 million years old, which are also transitional fossils, showing a tooth pattern that is in between the tooth rows of sharks and bony fishes. Osteichthyes can be compared to Euteleostomi. In paleontology the terms are synonymous. In ichthyology, the difference is that Euteleostomi presents a cladistic view which includes the terrestrial tetrapods that evolved from lobe-finned fish. Until recently, the view of most ichthyologists has been that Osteichthyes were paraphyletic and included only fishes. However, since 2013 widely cited ichthyology papers have been published with phylogenetic trees that treat the Osteichthyes as a clade including tetrapods...wiki

It is an event today, 
the same will be news tomorrow 
and again, the same will be the history the day after tomorrow.
-Rabi Roy

Next Chapter

Historical Events: Yearwise

500,000: The Peking Man Site, excavations in the early revealed evidence of human habitation from 500,000 to perhaps 680,000 years ago. The cave was excavated from 1927-37 yielding 200 human fossils (from 40 individuals) Homo erectus, more than 10,000 pieces of stoneware, several cinder layers indicating fire use in early man, as well as animal fossils from 200 separate species.


This page (1/1) is somewhat completed but will be modified from time to time if required.



Sorry, the full movie was not found.


This page (1/1) is somewhat completed 
but will be modified from time to time if required.

Go to the next page to continue


No calls are entertained. 
Only messages are accepted.

Monday, July 10, 2023

Facts related to water ।। Compilation: Rabi Roy ।। Page 1



Facts About Water & Sanitation: Global Scenario

* 663 million people - 1 in 10 - lack access to safe water;
* 2.4 billion people - 1 in 3 - lack access to toilets;
* Twice the population of the United States lives without access of safe water;
* 1/3 of the global population lives without access to a toilet;
* More people have a mobile phone than a toilet;
* A review of rural water system sustainability in eight countries in Africa, South Asia and Central America found an average water project failure rate of 20 - 40 percent;
* Globally, 1/3 of all schools lack access of safe water and adequate sanitation;
* In low and middle-income countries, 1/3 of all healthcare facilities lack a safe water source;
*  The water cricis is the No. 1 global risk based on impact to society (as a measure of devastation), as announced by the World Economic Forum in January 2015.
                         +++

Facts About Water Borne Diseases 
& Their Effects Around The World

* Every 90 seconds a child dies from a water-related diseases;
* Water-related diseases affect more than 1.5 billion people every year;
* Water, sanitation and hygiene related diseases kills nearly 1 million people each year;
* 160 million children suffer from stunting and chronic malnutrition linked to water and sanitation;
* Diarrhea is the 3rd leading cause of child death, a majority of which are water-related;
* ln low and middle-income countries, 1/3 of all healthcare facilities lack a safe water source.
                         +++

Facts About Children, Women
& Safe Water Cricis

* Women and children spend 125 million hours each day collecting water;
* Women and girls living without a toilet spend 266 million hours each day finding a place to go;
* Women and children bear the primary responsibility for water collection;
* Women and girls often spend up to 6 hours each day collecting water;
* In Africa and Asia, women and children walk an average of 3.7 miles a day just to collect water;
* Reductions in time spent collecting water have been found to increase school attendance;
* Every 90 seconds a child dies from a water-related disease;
* 160 million children suffer from stunting and chronic malnutrition linked to water and sanitation;
* Globally, 1/3 of all schools lack access to safe water and sanitation;
* Diarrhea is the 3rd leading cause of child death, a majority of which water-related;
* Involving women can make water projects 6 to 7 times more effective.
                         +++

Facts About The Economic Importance Of Safe Water

* Every one dollar invested in water and sanitation provides a 4 dollar economic return;
* 260 billion dollars is lost globally each year due to lack of safe water and sanitation;
*  Universal access to safe water and sanitation would result in 18.5 
billion dollars economic benefit each year from deaths avoided alone;
* Universal access of safe water and sanitation would result in 32 billion dollars in economic benefits each year from reductions in health care costs and increased productivity from reduced illness;
* Time spent gathering water around the world translates to 24 billion dollars in lost economic benefits each year;
* Annual aid for water and sanitation amounts to only US 8 billion dollars--- far short of the 1 trillion dollars needed to solve the cricis and maintain it in long term;
* Access to credit plays a significant role in triggering household sanitation investment, increasing health and providing families the dignity of a toilet.
                         ___



The above information was collected a few years ago. Negative as well as positive changes are very normal and expected at present.- RABI ROY             
-----
For more information
GO TO Page 2 (yet to be published)

Saturday, July 8, 2023

পশ্চিমবঙ্গ: খুনের খতিয়ান


পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে দীর্ঘদিন থেকেছেন এমন পাঁচজন মুখ্যমন্ত্রীর জমানায় খুনের খতিয়ান (কেন্দ্র ও রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে) নিম্নরূপ:


* বিধানচন্দ্র রায় (১৯৫২-৬২)

- ২,৫০৩ জন

* প্রফুল্ল চন্দ্র সেন (১৯৬২-৬৭)

- ২,৬৬৮ জন

* সিদ্ধার্থশংকর রায় (১৯৭২-৭৭)

- ৪,৩০৫ জন

* জ্যোতি বসু - বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (১৯৭৭-২০০৩)

- ৪২,০২৪ জন


উক্ত মুখ্যমন্ত্রীদের জমানায় রাজ্যে খুনের বার্ষিক গড় নিম্নরূপ:


* বিধানচন্দ্র রায়। ৫৫০

* প্রফুল্ল চন্দ্র সেন। ৫৩৩

* সিদ্ধার্থশংকর রায়। ৮৬১

* জ্যোতি বসু। ১৫২৯

* বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ১৪২৭


সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন ২৬.১১.২০০৪

---

কয়েক বছরের তথ্য উপরোক্ত তালিকায় পাওয়া যায়নি।

---

পঞ্চায়েত ভোটের রাজনীতিতে মৃত্যুর তালিকায় ২০০৩ সর্বোচ্চসংখ্যক স্থান অধিকার করেছে (নিচের তথ্যচিত্রটি ফেবুতে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে)।


July 8, 2023



Exact figures not yet found.

মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে এবারের পঞ্চায়েত ভোটের মোট বলি দাঁড়াল ৩৯ (মতান্তরে ৪১) 

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা (প্রথম পাতা) ০৯.০৭.২০২৩

Friday, July 7, 2023

মাইগ্রেশন: একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন।। রবি রায় ।। পৃষ্ঠা ১

মাইগ্রেশন
রচনা: রবি রায় 

গ্রাম থেকে শহরে, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে --- বাঁচার তাগিদে দুনিয়া জুড়ে অবিরাম মানুষের স্রোত। ইংরেজিতে বলা হয় --- Migration is a rational economic choice, কিন্তু বাস্তব সত্যটা হলো দারিদ্র্য, কর্মহীন ও নিজ বাসভূমি থেকে উৎখাত হওয়া মানুষের জীবনে migration is primarily compulsion and choice is, obviously, a secondary factor. দারিদ্র্য ও অনাহারের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে নিজ বাসভূমি ছেড়ে হাজারে হাজারে মানুষ নিয়ত পাড়ি দেয় অজানা-অচেনা পথে। এমনকি দেশের সীমানাও তাদের আটকে রাখতে পারেনা। বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই পেটের তাগিদে নিরন্ন মানুষের স্থানান্তরন চলেছে নিরন্তর যেমন চলত প্রাক-ইতিহাসের মুখে।
দারিদ্র্য ও অনাহারের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে নিজ বাসভূমি ছেড়ে হাজারে হাজারে মানুষ নিয়ত পাড়ি দেয় অজানা-অচেনা পথে। এমনকি দেশের সীমানাও তাদের আটকে রাখতে পারেনা।😲



(চলছে)








Facts related to water ।। Compilation: Rabi Roy ।। Page 2

 

জলদূষণের অন্যতম কারণ জলে আর্সেনিকের উপস্থিতি। 


মানবদেহের উপর আর্সেনিকের নানাবিধ প্রভাব  💀

* স্নায়ুতন্ত্র (Nervous System): 

দুর্বলচিত্ততা, দুর্বল গতি, স্নায়বিক অসুস্থতা

* হৃদপিন্ড ও রক্তপ্রবাহ (Cardiovascular System):

হৃদযন্ত্রের অসুস্থতা, অস্বাভাবিক রক্তচাপ, হার্ট এ্যাটাক 

* ক্যানসার আক্রান্ত হতে পারে কিনা ও (গল) ব্লাডার (Rental System):

* ত্বক (Skin)

ত্বকের বিকৃতি দেখা যায় (সচরাচর এটাই আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে) 


এছাড়া ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে ত্বক


* এনডোক্রাইন সিস্টেম (Endocrine System):

বহুমূত্র রোগ হতে পারে, গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে গ্লুকোজ ধারন ক্ষমতা দুর্বল করে 

* শ্বসনতন্ত্র (Respiratory System):

ফুসফুসে ক্ষয়রোগ, ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুসে ক্যান্সার 

* লিভার (Lever):

লিভার ক্যান্সার হতে পারে 

* বাড়বৃদ্ধির প্রকৃয়া (Development Process):

শিশুদের ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকছে বয়স্কদের মতোই, শিশুমৃত্যু বৃদ্ধি, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, জন্মকালীন ওজন হ্রাস


মানবদেহের উপর ফ্লোরাইডের প্রভাব














একাত্তরের জননী

  বর্তমানে বইটি মুদ্রিত নেই   একাত্তরের মা হয়েই আমৃত্যু কাটিয়েছেন।   প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধেও স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশন নেননি। একাত্তরের জননী...