Wednesday, August 16, 2023

Lady Chatterley's Lover: D. H. Lorence



"লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার" এটাই ছিলো ডি.এইচ লরেন্সের লেখা শেষ উপন্যাস। যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৩০ সালে তিনি মারা যান। বইটি প্রকাশের পরেই এর ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। বইটির ওপর নিষেধের বেড়াজাল উঠে গেলে লন্ডনের বিখ্যাত বই বিক্রেতা ‘ডব্লিউ অ্যান্ড জি ফয়েল লিমিটেড ১৫ মিনিটের মাথায় ৩০০ কপি বই বিক্রি করে। লরেন্সের ৩০তম জন্মদিনে পেঙ্গুইন বুকস ২ লক্ষ বই ছাপিয়েছিলো বিক্রির জন্য।

ডি.এইচ লরেন্সের এই আলোচিত উপন্যাসের কাহিনি অবলম্বনে বড় পর্দায় একাধিক সিনেমাও নির্মিত হয়েছে।

ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামশায়ার অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে তখনকার উঁচু তলার এক নারী কন্সট্যান্স রিদ (লেডি চ্যাটার্লি) প্রেমে পড়েছিলো বাগানের মালির সঙ্গে। তার স্বামী ক্লিফোর্ড চ্যাটার্লি ইংল্যান্ডের বিত্তবান শ্রেণীর মানুষ ছিলো। কিন্তু সে ছিল পঙ্গু। হুইলচেয়ারে বসে থাকা স্বামী আর অন্যদিকে সুদর্শন মালি- এই দুই চরিত্রের মাঝে লেডি চ্যাটার্লি। 

সেই সময়ে বসে লরেন্স তাঁর উপন্যাসে দেখাতে চেয়েছিলেন শ্রেণী বৈষম্য থাকলেও মালির সঙ্গে মালকিনের প্রেম হতে পারে। আর সেই প্রণয়ে শরীরই প্রধান। তিনি দেখিয়েছেন শুধু মনের কারবারেই প্রেম সীমাবদ্ধ নয়, শরীরের আকর্ষণ মনকেও ছাপিয়ে যায়।

আর এখানে এসেই তৎকালীন সমাজের ছিলো যতো আপত্তি। ভাষায় অশ্লীলতার প্রকাশ এবং নারী-পুরুষের মিলনের বিশদ বিবরণ এই বইটি প্রকাশের বিরুদ্ধে ছিলো বড় বাধা। আর সেই বাধা থেকেই মামলা। ১৯৫৯ সালে ইউরোপে মানুষের চায়ের কাপে আলোচনার ঝড় হয়ে দেখা দেয় এই বই। ৯ জুন জুরি এই বইয়ের মামলায় লরেন্স আর তার অমর উপন্যাসের পক্ষেই শেষ রায় দেন। ১৯৬১ সালে ইংল্যান্ডে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

লেখা শেষ করার পর ডি. এইচ লরেন্স তাঁর উপন্যাসের নাম দিতে চেয়েছিলেন ‘টেন্ডারনেস’। এই নামে তিনি উপন্যাসটির কিছু জায়গায় সংশোধনের কলম টানেন। সেই সংশোধিত উপন্যাসটিও পরে প্রকাশিত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত রয়ে যায় ‘লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার’।

বইটি প্রকাশের পরে ছাপার অযোগ্য "লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার" অভিযোগের তীরটা এমনই ছিলো। ১৯৬০ সালের আগে এই বইটি ইংল্যান্ডে প্রকাশ্যে বিক্রি করার অনুমতি পাওয়া যায়নি। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ডি. এইচ. লরেন্স যৌনতাকে পুঁজি করে এই উপন্যাস রচনা করেছেন, এই অভিযোগে প্রকাশনা সংস্থা ‘পেঙ্গুইন বুকস’-কে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, জাপান আর ভারতে দীর্ঘ সময় ধরে নিষিদ্ধ ছিলো এই বই। কিন্তু মামলায় জেতার পর লেডি বইটির এক মিলিয়ন কপি নিঃশেষ হয়ে যায়।

তথ্যসূত্র:
নেট, গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমস
ছবিঃ গুগল
উপরোক্ত লেখাটি সংগৃহীত 

No comments:

Post a Comment

একাত্তরের জননী

  বর্তমানে বইটি মুদ্রিত নেই   একাত্তরের মা হয়েই আমৃত্যু কাটিয়েছেন।   প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধেও স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশন নেননি। একাত্তরের জননী...