আত্মহত্যা বিষয়ে
সাম্প্রতিক অতীতের
কিছু তথ্য
সংকলন: রবি রায়
একসময় তথ্য নিয়ে কাজ করতাম। পুরানো কিছু সাম্প্রতিক অতীতের সংগ্রহ আজ খুঁজে পাওয়া গেল।
*
(১)
আত্মহত্যার খতিয়ান: বিশ্ব
বিশ্ব জুড়ে প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যা প্রতি আত্মহত্যার হার ১৪.৫। এটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য। বিশ্বের যেসব দেশে আত্মহত্যার হার বেশি তাদের মধ্যে পড়ে বালটিক অঞ্চলের লিথুয়ানিয়া (৫১.৬), রুশিয়া (৪৩.১), বেলারুশ (৪১.৫) এবং এস্টানিয়া (৩৭.৯)।
যেসব ধনী দেশে আত্মহত্যার হার বেশি সেগুলো হলো -
ফিনল্যান্ড (২৮), অস্ট্রিয়া (২০) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১৩.৯)।
লাতিন আমেরিকার কিউবা তেও আত্মহত্যার হার (২৩) খুব কম নয়।
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এই হার কম দেখা যায়, কারণ বহু ঘটনারই কোনো রেকর্ড থাকে না। রেকর্ড না থাকার নজির বিশেষত মুশলিম দেশগুলোতে দেখা যায় যেখানে আত্মহত্যাকে পাপ মনে করা হয়। ভারতের পন্ডিচেরীতে এই হার সবচেয়ে বেশি, ৫০.৮৫। অন্যান্য রাজ্যগুলোর মধ্যে কেরালা (২৮.৭৬), কর্নাটক (২৩.৩৬), পশ্চিমবঙ্গ (১৭.৪৬) এবং তামিলনাড়ু (১৭.৭২)।
সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, কলকাতা ২৫.০৭.০৫
***
(২)
আত্মহত্যার খতিয়ান: ভারত
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (NCRB) তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সালে সারা দেশে আত্মহত্যার খতিয়ান ১,০০,৫৯৭, অর্থাৎ প্রতি ৫ মিনিটে একটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পরের তিন বছরের খতিয়ান ব্যুরো রেকর্ড অনুযায়ী ২০০১ সালে ১,০৮,৫০৬ জন, ২০০২ সালে ১,১০,৪১৭ জন ও ২০০৩ সালে ১,১০,৮১৫ জন। অর্থাৎ আমাদের দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ক্রমবর্ধমান। রেকর্ডের বাইরেও হয়তো থেকে যায় আরও অনেক ঘটনা।
আত্মহত্যাকারীদের একটা বড় অংশই বেকার যুবক-যুবতী।
ব্যুরোর তথ্য অনুসারে আত্মহত্যার ঘটনা কৃষকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের স্থান প্রথম। এরপর আছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, এমনকি সবুজ বিপ্লবের পীঠস্থান পাঞ্জাবও। কর্নাটক স্টেট ক্রাইম ব্যুরো ১৯৯৬ থেকে ২০০০-এর মধ্যে ৫৬,৭৯০টি আত্মহত্যার ঘটনা রেকর্ড করেছিল যার মধ্যে ১০,৯৫৯টি (অর্থাৎ ১৯ শতাংশ) ঘটনাই ছিল কৃষির সাথে জড়িয়ে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন ২২.০৪.২০০৫
***
নিচের সংবাদটি প্রকাশের তারিখ জানা যায়নি।
(৩)
আত্মহত্যার খতিয়ান: পশ্চিমবঙ্গ
২০০১ থেকে ২০০৩ এই তিন বছরে পশ্চিমবঙ্গে ৪০ হাজার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ২০০৪ সালের একটি রিপোর্টে দেখা গেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ১৩টি ব্লকে অভাবের তাড়না, পারিবারিক অশান্তি ও সামাজিক অবিচারের কারণে ঐ তিন বছরে ৫১৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এদের মধ্যে ৩১২ জন মহিলা। আর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এমন ৫,১৭৮ জনের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ৩,৬০৩। এই ১৩টি ব্লকই রাজ্যের সব থেকে পিছিয়ে পড়া এলাকার অন্তর্ভুক্ত।
সূত্র: বর্তমান ০৯.১১.২০০৪
---
আত্মহত্যায় রাজ্য দ্বিতীয়
-সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
চলতি বছরের মাত্র সাড়ে ৯ মাসেই ১২০। ১০৯-এর ভয়াবহ সংখ্যাতত্ত্বটাকে স্পর্শ করতেই ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো বা ভারতের অপরাধ বিজ্ঞানের পরিসংখ্যানে আত্মহত্যার ঘটনাবলীতে কলকাতা সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গেল।
***
(৪)
আত্মহত্যার খতিয়ান: ভারতের সসস্ত্র বাহিনীতে আত্মহত্যা
গত তিন বছরেই CRPF-এর ৬৯ জন জওয়ান আত্মহত্যা করেছে। ২০০৪ সালেই ২৭টি এমন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, কলকাতা ১৯.০২.২০০৬
***
(৫)
বিদেশে ভারতীয় শ্রমিকদের আত্মহত্যা
(চলবে)


No comments:
Post a Comment